আমরা ইতিহাস পড়ি কেন

 জীবজগতে মানুষের আবির্ভাব ঘটে প্রায় কুড়ি লক্ষ বছর আগে। প্রথম অবস্থায় মানুষের আকৃতি আজকের মত ছিল না। মানুষের জীবন-ধারণের ধরনও ছিল ভিন্ন। 

আদিম গুহামানব


আবার, প্রাকৃতিক পরিবেশে ছিল নানা বাধা- বিপত্তি বা প্রতিকূলতা। বন্যা, ভূমিকম্প, ঝড়-বৃষ্টি, বজ্রপাত, তুষার পাত —এইসব বাধা-বিপত্তির মুখে মানুষ ছিল শিশুর মতই অসহায়। তাছাড়া, প্রতি মুহূর্তে ছিল হিংস্র জীবজন্তুর আক্রমণের ভয়। বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট খাদ্যের অভাব ছিল।

এইসব বাধা-বিপত্তিকে মানুষ ভয় পেলেও হার মানে নি। প্রতিকূলতাকে জয় করার জন্য মানুষ তার ভ্রমকে কাজে লাগিয়েছে। প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে মানুষ দলবদ্ধ হয়েছে।

আত্মরক্ষার সংগ্রাম করতে নানা উপায়

আয়ত্ত করেছে। জীবজগতের অন্য সব প্রাণীর সঙ্গে তুলনায় এইখানেই মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব।

শ্রমের ফলে মানুষের দলবদ্ধ জীবনে এসেছে নানা পরিবর্তন। আত্মরক্ষা এবং খাদ্য সংগ্রহ করার জন্য মানুষ নানারকম হাতিয়ার তৈরি করতে শেখে। ফসল বুনতে ও বন্যপশুকে পোষ মানিয়ে কাজে লাগাতে শেখে। পোশাক তৈরি, চাষ-আবাদ, বাড়িঘর তৈরি করতে শেখে। অসময়ের জন্য ফসল সঞ্চয় করতেও শেখে। শ্রমের ফলে মানুষ যেমন তার পরিবেশকে বদলায়, তার আকৃতি-প্রকৃতিও বদলে যায়। দলবদ্ধ শ্রমের ফলেই আসে ভাষা ও লিপির ব্যবহার। কারিগরী, শিল্প, ধর্ম, আইন-কানুন, যুদ্ধবিগ্রহ, আমোদ-প্রমোদ, উৎসব ইত্যাদি মানব সমাজের “es হয়ে ওঠে! মানয় Gea এই সব বিভিন্ন দিককে এক কথায় বলা হয় মালব HSI | মানুষের সভ্যতা সব সময় সমানভাবে চলে না নানা পরিবর্তনের মধ্য ‘দিয়ে চলে। মানব সমাজ ও সভ্যতার ধারাবাহিক এই


লক্ষ লক্ষ বছর আগে মানব সভ্যতার সূচনা কিভাবে হয়েছিল, শ্রম উঠেছিল, কেমন করে মানুষ তার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে উন্নত FRU গুড়ে তুললো--এই-সক বিষয়ে সঠিক ধারণা লাভের মামলা ইতিহাস পড়ি।


মানর সভ্যতার অতীত সঠিকভাবে জানলে আমরা বর্তমান সমাজকে বুঝতে পারবো। ভবিষ্যৎ মানব সমাজের অগ্রগতি কোন পথে ASS, সে শিক্ষাও আমরা ইতিহাস থেকে জানতে পারব।

সম্প্রেষণ ও সম্মেলন: ইতিহাস পড়া সম্প্রেষণ ও সম্মেলনের জন্য একটি উপায় হতে পারে। আমরা পূর্বের ঘটনাগুলি সম্পর্কে জানতে পারি এবং আমাদের নীতি, সামাজিক ব্যবস্থা, এবং সংস্কৃতির সাথে এটির সম্পর্ক তৈরি করতে পারি। ইতিহাস পড়া সম্মেলনের সাথে সাথে আমরা আমাদের ভূতকালের গতি এবং পরিপ্রেক্ষ্য বুঝতে পারি যা আমাদের আত্মবিশ্বাস এবং বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে সাহায্য করে।


প্রশাসনাত্মক শিক্ষা: ইতিহাস পড়া নিয়মিত শিক্ষা এবং প্রশাসনাত্মক দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। বিভিন্ন দেশের ইতিহাস, রাজনৈতিক ব্যবস্থা, ও বৈচারিক বিশ্বাসের মধ্যে সাম্য এবং বৈচারিকতা সম্পর্কে শিখতে হয় এবং সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে।


বিশেষজ্ঞতা ও পেশাদার উন্নতি: ইতিহাস পড়া ব্যক্তিগত পেশাদার উন্নতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। এটি পেশাদার জীবনের বিভিন্ন দিকে সুইক্ষার সুযোগ দেয় এবং একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতে সাহায্য করে, যেটি আমাদের সমৃদ্ধি করে এবং বেতনের এবং সামাজিক অবস্থার উন্নতি করে।


সামাজিক অবদান: ইতিহাস পড়া আমাদের সামাজিক অবদানে সাহায্য করে যেতে পারে। ইতিহাসের অধ্যয়ন আমাদের সামাজিক সমস্যা, সমাজের স্বার্থ, এবং সামাজিক চ্যালেঞ্জগুলি সম্পর্কে বিচার করার স্থান সৃষ্টি করতে পারে এবং আমরা সমাজে উন্নতি এবং সামাজিক ন্যায় সাধনে সাহায্য করতে পারি।

0 Comments